কিভাবে স্মার্ট হওয়া যায়

যেভাবে স্মার্ট হওয়া যায়ঃ- আমরা সবাই চাই একটু স্মার্ট ভাবে চলার জন্য, এবং স্মার্ট ভাবে কথা বলার জন। এছাড়া বেশিরভাগ লোকই স্মার্ট লোককে পছন্দ করে, আপনি চাকরি করু্‌ কোথাও ঘুরতে যান, কারো সাথে কথা বলুন সর্বপ্রথম আপনার স্মার্টনেস এই ব্যাপারটি সবাই লক্ষ্য করবে, যদি আপনার স্মার্টনেস ভালো হয় তাহলে সকলের কাছে আপনি একজন প্রিয় মানুষ হয়ে উঠতে পারেন।এর জন্য আমি আজ আপনাদের মাঝে কিভাবে স্মার্ট হওয়া যায় তার কিছু সামান্য পরিমাণ টিপস শেয়ার করতে যাচ্ছি।যদি আমার কিছু ভুল হয় তাহলে আপনার আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

১. কথাবলা এবং পোশাক আশাক

২. আচার ব্যবহার

৩. খারাপ অভ্যাস

৪. রুচিশীল কাজ করা

৫. মেজাজের ভারসাম্যতা

৬. সৎ এবং সত্যবাদী

১. কথাবলা এবং পোশাক আশাক

মানুষের প্রথম প্রকাশ হয় তার কথায়। আমি জানি অনেকেই বলবেন, তার পোশাকে। দুটোই সঠিক।
কারন, আপনি কোথাও গেলেন, আর কোন কথা না বলে চলে আসলেন, তাহলে সেখানকার লোকেরা বলবেন- এক লোক এসেছেন দেখে মনে হয়না ভদ্রলোক। এর কারন কি? ভদ্র পোশাক ছিল না মানে কি?
কোন পোশাক ভদ্র আর কোন পোশাক অভদ্র? অনেকের ক্ষেত্রেই ঘটেছে, কথা বলার পর মনে হয়েছে ক্ষেত। কমেন্টের পর জানা গেল একজন ক্ষেত এসেছেন।
মোদ্ধা কথা হল মানুষ মানুষকে কথা এবং পোশাক দুই জিনিস দিয়েই মেপে নেয়। কেউ এর আর ভিতরে যেতে চায় না।
তাই সবার আগে উচিত সুন্দর করে কথা বলা। কথা বলার সময় কোন অপ্রাসংগিক মন্তব্য না করা। কারো নেগেটিভ দিক না বলে পজেটিভ দিক বলা।
সম্মান করতে শেখা। বয়সে ছোট হলেও আপনি সম্বোধন করা।
নিজের কথা দিয়ে বুঝিয়ে দেয়া যে আপনি একেবারে নিচু লেভেলের নন। পোশাকের ক্ষেত্রে কমন পোশাক পরা। কালার নির্বাচনের ক্ষেত্রে চকচকে কালার পরিহার করা।
ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন পোশাকের ব্যবহার করা। তবেই একজন দেখলেই আপনার সম্পর্কে ভাল কিছু না বললেও খারাপ কিছু বলার সাহস পাবে না।

২. আচার ব্যবহার

মানুষের পরিচয় তার আচার ব্যবহারে হয়। ভাল মানুষকে মনে রাখেন সবাই। আচার ব্যবহার একজন মানুষকে সর্বোচ্চ স্মার্ট করে তুলতে পারে। তাই আচার ব্যবহারে অনেক বেশি সচেতন হওয়া উচিত।

৩. খারাপ অভ্যাস

অনেকেরই খারাপ কিছু অভ্যাস থাকে। এসবের কারনে তারা নিজেদের অবস্থান হারিয়ে ফেলেন। যেমন- নেশাভান করা, নারীর প্রতি দুর্বলতা, উৎকট পোশাক আশাক ব্যবহার।
অসোভন কিছু করা ইত্যাদি। এসব বাদ দিতে হবে যত দ্রুত পারা যায়। তা না হলে স্মার্ট হতে পারা যায় না।

৪. রুচিশীল কাজ করা

গান শোনা, বই পড়া, কিংবা ভাল মুভি দেখা, চিত্র কর্ম , সামাজিক সহযোগীতা, স্বেচ্ছাসেবিক ইত্যাদি কর্ম একজন মানুষকে অনেক স্মার্ট করে তুলতে পারে। যে যত বেশি স্মার্ট সে তত বেশি রুচিশীল কাজ করেন।

৫. মেজাজের ভারসাম্যতা

মানুষের মেজাজ সবসময় এক থাকে না। স্মার্ট ব্যক্তির মেজাজের কন্ট্রোল থাকবে অনেক বেশি। সেজন্য কিছু না কিছু প্রাকটিজ অর্থাৎ অনুশীলন দরকার।
যোগ ব্যায়াম করে দেখতে পারেন। কাজ না হলে মেডিটেশন পদ্ধতির আশ্রয় নিন। রাগ নিয়ন্ত্রন না করা গেলে জীবনে শুধু স্মার্টনেস ই নয় অনেক কিছুই হারাতে হয়।

৬. সৎ এবং সত্যবাদী

স্মার্ট লোকেরা আজকাল এই অংশটি বাদ দিয়েই স্মার্ট বনে যাচ্ছেন। দেখলে হাসি পায়। যারা নির্ভিক তারাই হয় সৎ এবং সত্যবাদী।
যে নিজের অন্যায় “অন্যায়” হিসেবে জানাতে ভয় পায় সে হয় মিথ্যাবাদী। তাই সত্যবাদী হয়ে স্মার্ট হওয়াটা আবশ্যক।
একজন মিথ্যাবাদী মানুষ যতই স্মার্টনেস অর্জন করুক না কেন, স্থায়ী হন না বেশি দিন। সৎ মানুষের কথা অনেকদিন মানুষ মনে রাখেন।

স্মার্ট হওয়ার জন্য আরো কিছু টিপস দেখতে হলে এখানে ক্লিক করুন

সর্বাধিক জনপ্রিয়